নিরামিষভোজী বেড়ে যাওয়ায় ব্রিস্টলে গরুর মাংসের খামারীরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন

 সাক্ষাৎকারে এক বিশেষজ্ঞ ব্যাখ্যা করেছেন, যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলে গরুর মাংসের উত্পাদন ভেজানিজমের উত্থানের ফলে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

ক্যাটারারস সরবরাহকারী পশ্চিমা  ভিত্তিক ক্রয় গোষ্ঠী- রিজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালেক্স ডেমেট্রিও (Alex Demetriou) বলেছেন,  গ্রাহকরা মাংসের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে নগরীর খামারীরা  'দারুন বেকায়দায় '  পড়েছেন।

গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এই অঞ্চলে গরুর মাংস পাঁচ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং কৃষির শিল্প বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
আরো দেখুনঃ  জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গো-মাংস নিষিদ্ধ করেছে

ব্রিস্টল পোস্টের বরাতে দেমেট্রিউকে উদ্ধৃত করে "এটি মনে হচ্ছে যেন এটি নিরামিষাশীদের এবং নিরামিষ ও নমনীয় আন্দোলনের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে, যা কোনও প্রবণতার চেয়ে জীবনযাত্রার পছন্দ হিসাবে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।"

তিনি বলেন, এই প্রবণতা কৃষকদের আয়ের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় কৃষকরা তার সহকর্মীদেরকে বলেছেন  প্রাণী ভিত্তিক কৃষি বাদ দিয়ে  উদ্ভিদের দুধের বাজারের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য   অনুরোধ করেছিলেন।  কারণ গ্রাহকরা মাংস এবং দুগ্ধের দিক থেকে  মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

ব্রিস্টল হ'ল ভেগানিজমের (নিরামিষী ) অন্যতম প্রধান শহর এবং শেফের পেন্সিলের(Chef’s Pencil)  সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে এটি পৃথিবীতে উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্যের সর্বাধিক পরিমাণে অনুসন্ধান করেছে।

শহরটিতে প্রচুর ভেজান রেস্তোঁরা রয়েছে এবং সম্প্রতি একটি সংস্থা এমনকি এলাকায় ভেজান ভেন্ডিং মেশিন চালু করেছে।

শেফ'স পেনসিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন: "বার্লিন এবং লন্ডনের উপরে চলে যান ... ব্রিস্টল হ'ল নতুন ইউরোপীয় এবং বিশ্বব্যাপী ভেজান রাজধানী।

“গুগলে ব্রিস্টলের Vegan- সম্পর্কিত অনুসন্ধান  বিশ্বের প্রতিটি শহরকে ছাড়িয়ে গেছে।

“যদিও এটি অনেকের কাছে অবাক হওয়ার মতো বিষয় হতে পারে, স্থানীয়রা সকলেই ভাল করেই জানেন যে তাদের শহরটি একটি ভেজান মক্কাতে পরিণত হয়েছে।

"এখানে প্রচুর ভেগান রেস্তোঁরা, ক্যাফে, নিরামিষাশী চুল এবং বিউটি সেলুন এবং এমনকি একটি সক্রিয় ব্রিস্টল ভেগান সম্প্রদায় রয়েছে” !"

প্রতিদেবনটি করা হয়েছে  Totally Vegan Buzz অনুসারে।

এই প্রতিবেদন  সম্পর্কে আপনার ভাবনা কী? নীচের মন্তব্য আপনার চিন্তা শেয়ার করুন!